প্রিয় পাঠকগণ,

দন্ডবত, আমরা জানি,

“যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত। অভ্যুত্থানম অধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্॥
পরিত্রাণায় হি সাধুনাং বিনাশয় চ দুষ্কৃতাম। ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে॥”

হে ভারত (অর্জুন), যখনই ধর্মের গ্লানি এবং অধর্মের অভ্যুত্থান হয়, আমি(জীবাত্মা) সেই সময়ে দেহ ধারণপূর্বক অবতীর্ণ হই।
হ্যাঁ ওনার অবতীর্ণ হবার সময় হয়তো হয়ে এসেছে অধর্ম কে নাশ করার জন্য। তবে আমাদের মধ্যে যিনি ১৬ কলা পূর্ণ করতে পারবেন, ওনার মধ্যেও আবির্ভূত হতে পারেন।

১) পবিত্রতা (Cleanliness),২) মধুরতা বা মাধুর্য (Sweetness), ৩) অকৃপণ বা কৃপণতা মুক্ত (Free from Miserliness), ৪) সন্তুষ্টি (Satisfied), ৫)পরোপকারী (Benevolent) ৬)নিয়মিত (Regular), ৭)উদারতা (Kindness), ৮)নম্রতা (Humility), ৯)প্রেম (Love), ১০) ক্ষমাশীলতা (Forgiveness), ১১) শুভ ভাবনা ( Good Thinking),১২) সহনশীলতা (Endurance), ১৩) সততা (Honesty), ১৪) আজ্ঞাবাহী (Obedient),১৫) কল্যাণকামী (Delightful),১৬) ধৈর্য্যশীল (Patient)।

মহম্মদ হলেন ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকে তিনি এই ধর্ম প্রচার করেন। পবিত্র কোরান ইসলাম ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ। তাঁর চল্লিশ বছর বয়সে, ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে রমজান মাসের এক রাতে এটি শুরু হয়েছিল।

যিশু খ্রিস্টের জন্মের ৬১০ বছর পর ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব। তাহলে তার আগে তার পূর্বপুরুষদের কি ধর্ম ছিল? তাঁরা সনাতনী ছিলেন। কারণ প্রতিটি প্রাণী বা বস্তুর একটা ধর্ম থাকে। ধর্ম ছাড়া তার কোনো অস্তিত্ব থাকে না। এটা বিজ্ঞানসম্মত। সনাতন ধর্মের উৎপত্তির কোথাও উল্লেখ নাই মানে এটা শুধুমাত্র ধর্ম নয় এটা বিজ্ঞান। তাই প্রতিটি মানুষ এই ধর্ম নিয়েই জন্ম গ্রহণ করে। হাকিম সাহেব, আপনার পূর্ব-পুরুষগণ সনাতন ধর্ম নিয়েই জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। আপনি আপনার পূর্ব-পুরুষদের জন্মগ্রহণ টাকে দুর্ভাগ্য জনক বলে উল্লেখ করলেন? তাদের অপমান করলেন? যারা পূর্ব-পুরুষদের সম্মান দিতে পারে না, তারা কী ভাবে বর্তমান প্রজাতির উদ্ধার করা নিয়ে ভাবতে পারে? আসলে এহেন অজ্ঞতার পরিচয় ইতিহাসের পাতায় উল্লেখ আছে। যদি পাতাটা একটু উল্টে দেখতেন, এ রকম বক্তব্য থেকে বিরত থাকতেন।

হিন্দি তে একটা কথা আছে, “গধা জিলিপি খাতা হ্যায়”

হ্যাঁ এখন পশ্চিমবঙ্গে গাধা জিলিপি খাচ্ছে। আমরা খেতে দিচ্ছি তাই খাচ্ছে। তবে আর বেশিদিন খেতে পারবে না।

ধর্ম কাকে বলে? যেটা তিনি ধারণ করেন তাকে ধর্ম বলে। হাকিম সাহেবের পূর্বপুরুষদের সনাতন ধর্ম ধারণ করার যোগ্যতা না থাকার কারণে সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে একটি ধর্ম গঠন করে ছিলেন। এখন একজন সুস্থ মস্তিক সম্পন্ন মানুষ যোগ্য জায়গা থেকে অযোগ্য জায়গায় নিশ্চয় যাবে না। বলপূর্বক নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে যেটা ঘটে চলেছে।

আমরা জানি সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই। তাই আপনাদের পুরো টিমকে মানুষ হিসাবে যোগ্য স্থান গ্রহণ করার অনুরোধ রইলো।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য করে রাখি:
হিন্দু শব্দটি এসেছে ইন্দো-আর্য সংস্কৃত সিন্ধু শব্দটি থেকে। সিন্ধু ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক নদীর নাম। ঐতিহাসিকভাবে সিন্ধু নদের পূর্বে বর্তমান ভারতকেই হিন্দুদের ভূমি বলে বর্ণনা করা হয়েছে। পরবর্তীকালের আরবি সাহিত্যেও আল-হিন্দ শব্দটির মাধ্যমে সিন্ধু নদ অববাহিকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে বোঝানো হয়েছে। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ভারতের নামের সমার্থক শব্দ হিসেবে হিন্দুস্তান বা হিন্দুস্থান শব্দটির উৎপত্তি হয়। এই শব্দের আক্ষরিক অর্থ “হিন্দুদের দেশ”।

হিন্দুস্থান থেকে ভারতবর্ষ। ভারতবর্ষ থেকে ভারত। ভারত থেকে ইন্ডিয়া কি করে হলো সেটা নিয়ে পরে আলোচনা করা যাবে।

Leave A Comment